ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পদ্ধতি: একটি বিস্তারিত গাইড লাইন

ড্রাইভিং লাইসেন্স আজকের সমাজে একজন গাড়িচালকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। এটি শুধুমাত্র গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয় না, বরং চালকের সুরক্ষা এবং ট্রাফিক আইন মেনে চলার দায়িত্বকেও প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ এবং প্রয়োজনীয়তাগুলি মেনে চলা আবশ্যক। এই ব্লগে, আমরা ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির পুরো প্রক্রিয়াটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব, যাতে আপনি সহজেই নিজের জন্য লাইসেন্স করতে পারেন।

১. কেন লাইসেন্স জরুরি?

একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স কেবলমাত্র একটি বৈধ ডকুমেন্ট নয়, এটি একটি দায়িত্বের প্রতীক। বাংলাদেশে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো আইনত অপরাধ। ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা সমূহ হলো:

  1. গাড়ি চালানোর বৈধতা: আপনি আইনত গাড়ি চালানোর অনুমতি পাবেন।
  2. আইনি সুরক্ষা: কোনো দুর্ঘটনা বা আইনি সমস্যা হলে লাইসেন্স আপনাকে সুরক্ষা দেবে।
  3. ট্রাফিক আইন মেনে চলা: লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য ট্রাফিক আইন সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়, যা নিরাপত্তা বাড়ায়।
  4. আন্তর্জাতিক গাড়ি চালানো: অনেক দেশে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স দ্বারা আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিটও পাওয়া যায়, যা বিদেশে গাড়ি চালানোর সুযোগ দেয়।

২. লাইসেন্সের ধাপসমূহ

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে মোটামুটি তিনটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়:

  • শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্স (Learner’s Licence)
  • তত্ত্বীয় এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা (Theory & Practical Exam)
  • পূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স (Full Driving Licence)

ক. শিক্ষানবিস লাইসেন্স (Learner’s Licence) পাওয়ার প্রক্রিয়া

কীভাবে আবেদন করবেন?

শিক্ষানবিস লাইসেন্স হল প্রথম ধাপ, যা আপনাকে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে সহায়তা করে। এটি প্রাপ্তির জন্য, আপনাকে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

ক. বিআরটিএ (BRTA) ওয়েবসাইটে আবেদন করুন: বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (BRTA) তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সুযোগ দেয়। আপনাকে প্রথমে তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ সময় আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য প্রয়োজন হবে।

খ. আবেদন ফরম পূরণ করুন: বিআরটিএ ওয়েবসাইটে আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। এই ফরমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি প্রদান করতে হবে। বিআরটিএ অফিস থেকেও ফরম সংগ্রহ করা যেতে পারে।

গ. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিন: আবেদন প্রক্রিয়ার সময় আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। সেগুলো হলো:আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি

  • এসএসসি/সমমানের সনদের ফটোকপি (যদি থাকে)
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • নির্ধারিত ফরমে আবেদন।২. রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট।
  • ন্যাশনাল আইডি কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি।
  • নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।
  • সদ্য তোলা ৩ কপি স্ট্যাম্প ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

তিনটি পরীক্ষায় পাশ করার পর নির্ধারিত ফর্মে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি দিয়ে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।

নির্ধারিত দিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ) দেওয়ার জন্য উপস্থিত হতে হয়। এসব প্রক্রিয়া শেষে বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ইস্যু করে।

স্মার্ট কার্ড পাওয়ার তারিখ এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।

খ. তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পরীক্ষা (Theory & Practical Exam)

তত্ত্বীয় পরীক্ষা

প্রাথমিক শিক্ষানবিস লাইসেন্স পাওয়ার পর, আপনাকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা দিতে হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষায় আপনার ড্রাইভিং, ট্রাফিক আইন, নিয়ম এবং সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান যাচাই করা হবে। এই পরীক্ষায় কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়, যেমন:

  • ট্রাফিক সিগন্যাল সম্পর্কে জানতে চাওয়া
  • রাস্তা চলাচলের নিয়মাবলী
  • ট্রাফিক চিহ্নের সঠিক ব্যবহার ইত্যাদি।

প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষা

তত্ত্বীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে, আপনাকে গাড়ি চালানোর দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য একটি ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হবে। এই পরীক্ষায় বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত একজন কর্মকর্তা আপনার ড্রাইভিং দক্ষতা পরীক্ষা করবেন। প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

  • সঠিকভাবে গাড়ি চালানো
  • নিয়ম মেনে গাড়ি পার্কিং করা
  • ব্রেক, ক্লাচ, গিয়ার সঠিকভাবে ব্যবহার করা

প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য আপনার গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ অবশ্যই সম্পন্ন হওয়া উচিত। আপনি যে ধরনের গাড়ি চালাতে চান, সেই অনুযায়ী প্রশিক্ষণ নিয়ে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

গ. পূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি

পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে কী করবেন?

যদি আপনি তত্ত্বীয় এবং প্রাক্টিক্যাল উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তাহলে বিআরটিএ আপনাকে একটি পূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে। এটি আপনাকে বাংলাদেশের যে কোনো সড়কে বৈধভাবে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেবে। পূর্ণ লাইসেন্স প্রাপ্তির পর আপনি সমস্ত ধরণের গাড়ি চালানোর জন্য সক্ষম হবেন, যদিও আপনার লাইসেন্সের ধরন অনুযায়ী সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে।

৩. লাইসেন্সের প্রকারভেদ:

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিভিন্ন শ্রেণির হতে পারে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি যে ধরনের গাড়ি চালাতে চান, সেই অনুযায়ী লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। সাধারণত, তিনটি প্রধান শ্রেণি রয়েছে:

  • মোটরসাইকেল লাইসেন্স (Motorcycle Licence)
  • প্রাইভেট কার লাইসেন্স (Private Car Licence)
  • পাবলিক ভেহিকল লাইসেন্স (Public Vehicle Licence)

৪. লাইসেন্সের নবায়ন

পূর্ণ লাইসেন্স সাধারণত নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈধ থাকে, যা ৫ বছর বা ১০ বছর হতে পারে। এই সময়সীমা পার হয়ে গেলে, আপনাকে আপনার লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। নবায়নের জন্য নির্দিষ্ট ফি প্রদান করতে হবে এবং বিআরটিএ অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।

নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

১. নির্ধারিত ফরমে আবেদন।

২. রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সাটিফিকেট।

৩. ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর সত্যায়িত ফটোকপি।

৪. নির্ধারিত ফি জমাদানের রশিদ।

৫. পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন।

৬. সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট ও ১ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি।

প্রয়োজনে আবেদনের মাধ্যমে লাইসেন্স এক এলাকার লাইসেন্স অন্য এলাকায় স্থানান্তর করা যায়।

অপেশাদার হলে:

প্রথমে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিআরটিএ’র নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র ও সংযুক্ত কাগজপত্র ঠিকভাবে পাওয়া গেলে একইদিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙুলের ছাপ) গ্রহণ করা হয়। স্মার্ট কার্ড প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়।

পেশাদার হলে:

পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে পুনরায় ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে উপস্থিত হতে হয়।

৫. লাইসেন্স করার সময় যে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হতে পারে

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া বেশ সহজ হলেও কিছু সময়ে কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন:

  • দীর্ঘ অপেক্ষার সময়: বিআরটিএ অফিসে আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে।
  • প্রশিক্ষণের সময়সীমা: শিক্ষানবিস লাইসেন্সের সময়কাল যথাযথভাবে শেষ না করলে পূর্ণ লাইসেন্স পেতে সমস্যা হতে পারে।
  • পরীক্ষার মান: তত্ত্বীয় এবং প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষার মান যথেষ্ট কঠিন হতে পারে। তাই সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে পরীক্ষা দিতে যাওয়া উচিত।
  • নথি সংক্রান্ত জটিলতা: সমস্ত নথি সঠিকভাবে জমা না দিলে প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হতে পারে।

৬. লাইসেন্স পাওয়ার কিছু টিপস

  • ড্রাইভিং স্কুলে ভর্তি হোন: আপনি যদি নতুন চালক হন, তবে একটি ভালো ড্রাইভিং স্কুলে ভর্তি হয়ে ড্রাইভিং শেখা ভালো হবে। এটি তত্ত্বীয় এবং ব্যবহারিক উভয় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে সহায়ক হবে।
  • পরীক্ষার আগে প্রস্তুতি নিন: তত্ত্বীয় পরীক্ষার জন্য ট্রাফিক আইন এবং নিয়ম সম্পর্কে পড়াশোনা করুন এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য গাড়ি চালানোর পর্যাপ্ত অনুশীলন করুন।
  • সঠিক নথি প্রস্তুত করুন: সমস্ত নথি সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখুন এবং আবেদন প্রক্রিয়ার সময় এগুলো বিআরটিএ-তে জমা দিন।
  • নিয়মিত ফি প্রদান করুন: শিক্ষানবিস লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি এবং পরে পূর্ণ লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় ফি সঠিকভাবে জমা দিন।

৭. ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি

শিক্ষানবিস ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত ফি রয়েছে। ফি প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট ব্যাংকে যেতে হবে বা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ফি পরিশোধ করা যাবে।

শিক্ষানবিস ফি:

  • একটি যানের জন্য ৩৪৫ টাকা(১৫% ভ্যাটসহ)।
  • দু’টি (গাড়ি ও মোটরসাইকেল) যানের জন্য ৫১৮ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।
  • লার্নার নবায়ন ফি ৮৭ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।
  • শিক্ষানবিস থেকে পূর্ণমেয়াদের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য নির্ধারিত পরীক্ষা দিতে হয়। এর জন্যও রয়েছে আলাদা ফি।
  • অপেশাদার লাইসেন্স ফি : ২,৩০০ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)।
  • পেশাদার লাইসেন্স ফি : ১,৪৩৮ টাকা (১৫% ভ্যাটসহ)

পেশাদার লাইসেন্স:

  • পেশাদার হালকা (মোটরযানের ওজন ২৫০০ কেজি’র নিচে) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হবে।
  • পেশাদার মধ্যম (মোটরযানের ওজন ২৫০০ থেকে ৬৫০০ কেজি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর হতে হবে।
  • পেশাদার ভারী (মোটরযানের ওজন ৬৫০০ কেজির বেশি) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৬ বছর হতে হবে।

এছাড়া পেশাদার ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে প্রথমে হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে। এর ন্যূনতম তিন বছর পর তিনি পেশাদার মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আর মিডিয়াম ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কমপক্ষে তিন বছর পর ভারী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়।

৮. লাইসেন্সের মেয়াদ

অপেশাদার হলে ১০ বছর, পেশাদার হলে ৫ বছর।

৯. সমাপ্তি

ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি প্রক্রিয়াটি যদিও দীর্ঘ এবং জটিল হতে পারে, তবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। এই ব্লগের মাধ্যমে আমরা লাইসেন্স করার বিস্তারিত ধাপগুলো তুলে ধরেছি। সঠিকভাবে প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিলে আপনি সহজেই আপনার লাইসেন্স পেতে পারবেন এবং সড়কে নিরাপদে গাড়ি চালাতে পারবেন।

  • বিআরটিএ (BRTA) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: (http://www.brta.gov.bd/) ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য এখান থেকে পাওয়া যায়।

১০. সাধারণ জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

১. ড্রাইভিং লাইসেন্স কীভাবে আবেদন করতে হয়?

লাইসেন্সের জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। বাংলাদেশে বিআরটিএ (BRTA) এর ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রাথমিক আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হয়। আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, ছবি, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেওয়ার পর প্রাথমিক আবেদন সম্পন্ন হয়।

২. ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কী কী নথি প্রয়োজন?

ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সাধারণত নিচের নথিগুলো প্রয়োজন হয়:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট (যেখানে দৃষ্টিশক্তি ও শারীরিক সুস্থতার তথ্য থাকে)
  • প্রাথমিক আবেদন ফর্ম (BRTA এর মাধ্যমে অনলাইনে পাওয়া যায়)

৩. ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য কত বছর বয়স লাগবে?

বাংলাদেশে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর। তবে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বয়স ২১ বছর হতে হবে।

৪. ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় কী ধরনের পরীক্ষা দিতে হয়?

লাইসেন্স পেতে তিনটি ধাপে পরীক্ষা দিতে হয়:

  • লিখিত পরীক্ষা: ট্রাফিক আইন, সড়ক চিহ্ন, এবং গাড়ি চালানোর নিয়ম-কানুন সম্পর্কে লিখিত জ্ঞান পরীক্ষা।
  • ব্যবহারিক পরীক্ষা: গাড়ি চালানোর দক্ষতা পরীক্ষা।
  • দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা: সঠিকভাবে গাড়ি চালানোর জন্য চোখের দৃষ্টি পরীক্ষা করা হয়।

৫. লাইসেন্স পাওয়ার পরে এর মেয়াদ কতদিন থাকে এবং কীভাবে নবায়ন করতে হয়?

সাধারণ ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ ৫ বছর থাকে। মেয়াদ শেষ হলে অনলাইনে বিআরটিএ ওয়েবসাইট থেকে নবায়নের জন্য আবেদন করা যায়। নবায়নের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় ফি জমা দিতে হয়।

(ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ)

নিয়মিত আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
আপনার তথ্য কোন তৃতীয় পক্ষকে প্রদান করা হবে না।
সাবস্কাইব করুন!
Get 50% OFF
Join our newsletter and get 50% off your next purchase and be the first to get notified on new products and deals
Privacy Policy. This information will never be shared for third part.
Subscribe Now!